১
সুচনা
আমি গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অবঃ) শামসুল আলম। এরচেয়েও আমি নিজের আরেক পরিচয়, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শামসুল আলম, বীর উত্তম পরিচয়ে বেশি গর্ববোধ করি। বাঙ্গালী রাজনীতি, জাতীয়তাবোধ কিংবা দেশের হালচাল এসব নিয়ে আমার সাধারন কৌতুহলের বাইরে তেমন বিশেষ কিছু আগ্রহ ছিলনা। তবে বাঙ্গালী অফিসার হিসেবে বাঙ্গালীদের কোন ভালো খবরে আমিও আনন্দিত হতাম যেমনটা খুব সাধারনভাবেই হবার কথা। আমার পোস্টিং ছিল রাওয়ালপিন্ডিতে। মনে আছে ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর আমরা পশ্চিম পাকিস্তানে সব বাঙ্গালী অফিসারেরা অনেক খুশী হয়েছিলাম। পার্টি করেছিলাম। ব্যাস, এটুকুই। সাধারনভাবে কিন্তু আমাদের তেমন কোন ধারনা ছিলনা যে পশ্চিম আর পূর্বের মধ্যে বৈষম্য কেন আর কতটুকু আছে। আমি প্রথমেই বলি আমি ঠিক কবে বুঝতে পারলাম যে বাঙ্গালীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে, তাদের মানুষ হিসেবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছেনা।
উপলব্ধির শুরু
২
আমি তখন সি-১৩০ ট্রান্সপোর্ট স্কোয়াড্রনে কর্মরত। ৭০ সালে ভয়াবহ ঘূর্নিঝড় আর জ্বলোচ্ছাসের (ভোলা সাইক্লোন) কথা অনেকেই শুনে থাকবে। আমরা যারা পশ্চিমে ছিলাম তারা টিভি কিংবা রেডিওতে শুনলাম যে পূর্বে ঘূর্নিঝড় আর জ্বলোচ্ছাস হয়েছে, এবং তাতে অনেক লোকজন মারা গেছে। কিন্তু তা যে কতটুকু ভয়াবহ সরকারী গনমাধ্যম থেকে আমরা বিন্দুমাত্র আঁচ করতে পারিনি। তবে বিবিসি কিংবা ভয়েস অব আমেরিকা অথবা ইন্ডিয়ান রেডিও থেকে আমরা জানতে পারি যে ভয়াবহ এক দূর্যোগ হয়েছে সেখানে আর লাখ লাখ লোক মারা গেছে। কিন্তু সেটা যে কতটা ভয়াবহ সেটা আমরা এতটুকু আঁচ করতে পারিনি।
সেই দূর্যোগের প্রায় ২০ দিন পর আমাদের স্কোয়াড্রনের উপর নির্দেশ আসলো যে আমাদের ঢাকাতে স্বানান্তরিত হতে হবে। তবে কেবল মাত্র একটি সি-১৩০ আর কিছু কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিমানে অল্প কিছু ত্রান নিয়ে আমরা রওনা হলাম ঢাকার দিকে। তখন আমাদের অনেক ঘুরে শ্রীলংকা হয়ে ঢাকা আসতে হত। এতো ঘুরে কেন যেতে হত সে ঘটনাটা আমার ঠিক মনে নেই, তবে কিছু পাকিস্তানী অথবা ভারতীয় দুস্কৃতিকারী (খুব সম্ভবত আইএসআই এর মদদপুষ্ট ) একটি ভারতীয় বিমান ছিনতাই করে পাকিস্তানে নিয়ে যেতে বলে, করাচীতে অবতরনে বাধ্য করা হয় সেই বিমান। এরপর তারা ভারতীয় সরকারের কাছে বিপুল অর্থ দাবী করে। ভারত সরকার দিতে রাজী না হওয়ায় যাত্রীসহ সেই বিমান উড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর ভারত সরকার পালটা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতের উপর দিয়ে পাকিস্তানী বেসামরিক বিমানের ওভার ফ্লাইও বন্ধ করে দেয়।
আমি বেশ অনেকদিন পর ঢাকা এলাম। ঢাকা এয়ারপোর্টের উপরে আসার পর পরই আমি বেশ অবাক হলাম, শুধু অবাক না আমি ভাবছিলাম আমি এসব কি দেখছি? ঢাকা এয়ারপোর্টের উপর দিয়ে আমাদের বেশ অনেক্ষন সার্কিট করতে হল কেবল ল্যান্ড করার জন্য কিছু জায়গা খুঁজে পেতে। না, রানওয়ে কিংবা এয়ারপোর্টের কোন ক্ষতি হয়নি। আমি অবাক হয়েছিলাম এ কারনে যে, এয়ারপোর্টে শত শত বিমান, নতুন কোন বিমান ল্যান্ড করার সুযোগ পর্যন্ত নেই!! পৃথিবীর প্রতিটি কোণ থেকে নানা জাতি তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আর ঢাকা এয়ারপোর্টে তাই শতশত বিমান, আর আমরা নিজের দেশের মধ্যে থেকেই সাহায্য নিয়ে হাজির হলাম ঠিক ২২ দিন পর!! হ্যা, ঠিক ২২ দিন পর!!
{১৯৭০ এর সাইক্লোনের পর বাংলাদেশে প্রায় ৩৮ টি হেলিকপ্টার ত্রান এবং উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ছিল। এর মধ্যে কেবল একটিও পাকিস্তানী ছিলনা। পাকিস্তান সরকার দাবী করে ভারতীয় আকাশ পথ অবরোধের কারনে তারা পূর্বে হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য যন্ত্র স্থানান্তর করতে পারেনি। কিন্তু ভারত সরকার এই দাবী অস্বীকার করে। ভারতীয়দের যে যাই বলুক, ৭০ এর এই দূর্যোগের পর সবচেয়ে প্রথম সাহায্যের হাত তারাই বাড়িয়ে দেয়। ভারত সরকার সেই সময়ের প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার সাহায্য হিসেবে প্রদান করে একটি গরীব দেশ হওয়া সত্ত্বেও। পশ্চিম বঙ্গের সামরিক বিমান এবং জাহাজের মাধ্যমে ত্রান এবং উদ্ধার কাজে অংশ নেবার প্রস্তাবও দেয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তান সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এমনকি বেসামরিক কোন বিমানকেও পূর্ব পাকিস্তানে ত্রান নিয়ে আসতে দেয়া হয়নি ভারত থেকে। সকল ত্রান স্থল পথে সীমান্ত থেকে ধীর গতিতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। )
৩
ঘূর্ণিঝড়ের ২৩ দিনের দিন আমরা ত্রান ফেলতে যাই। রায়পুরা, হাতিয়া আর উপকূলীয় নানা দ্বীপের উপর দিয়ে আমরা উড়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু প্রানের কোন চিহ্ন দেখছিলাম না। এমন কাউকে পাচ্ছিলামনা কিংবা কোন নাড়াচাড়া দেখছিলামনা যেটা দেখে আমরা তাদের উদ্দেশ্যে কিছু দিতে পারি। আমরা নীচে নামতে থাকলাম, ৫০০০ ফিট, ২০০০ ফিট, ১০০০ ফিট, কিন্তু কোন জীবিত প্রানীই আমরা দেখতে পাচ্ছিলামনা। পুরো অঞ্চল দুমড়ে মুচড়ে গেছে। সে বর্নণা অন্য এক আলাদা অধ্যায়। তবে ১০০০ ফুতে নেমে আসার পর আমরা মাটির উপর কালো কালো কিসের যেন সারি সারি দাগের মত দেখতে পাচ্ছিলাম। আমাদের কৌতুহল হয়। আমরা আরো নীচে আসি, ৫০০ ফিট, ৩০০ ফিট, ২০০ ফিট... আমাদের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। উপর থেকে যেসব কালো কালো দাগের মত দেখছিলাম, সেসব আসলে মৃতদেহ। মানুষ, গবাদিপশু সবার মৃতদেহ। সাগরের পানি সরে যাবার পর মৃতদেহগুলো মাটির উপর সারি সারি হয়ে পরে আছে। এতদিনেও কেউ তাদের সরাতে আসেনি। পঁচে গিয়ে কালো কালো দাগের মত দেখাচ্ছিলো উপর থেকে। এই ঘটনাগুলো আমি সেভাবে নিজের কাছে কিছু বন্ধু আর পরিবারের লোক ছাড়া কাউকে সেভাবে কখনোই বলিনি। কিন্তু জীবনের শেষে এসে আমার খুব ইচ্ছা আসলে কি হয়েছিলো তার কিছু কিছু ঘটনা পরের প্রজন্মকে জানিয়ে যাবার। এজন্য আমার এখন খুব কথা বলতে ইচ্ছা করে একজন সাধারন বৃদ্ধ মানুষের মতই, যে সুযোগ পেলেই কথা বলতে চায়।
(কথাটা বলা হয়েছিলো আসলে এভাবে, “এই বয়সে এসে তো অনেককিছুই ভুলে যাচ্ছি। কিন্তু এইসব কথা তোমাদের মত অনেককে বলতে ইচ্ছা করে। বুঝোনা, বুড়া মানুষেরা যেমন সারাদিন কথা বলতে চায়, অনেকটা ওইরকম।“)
সেই রাতে আমি ঠিকমত ঘুমাতে পারিনি। আমি প্রথমবারের মত বুঝতে পারি আমাদের সাথে বড় ধরনের কোন বৈষম্য করা হচ্ছে যেটা আমরা পশ্চিমে থেকে খোলা চোখেও ধরতে পারিনি, কিংবা চেষ্টা করিনি সেভাবে। আমরা নিজেদের মত চলেছি।
{ সাইক্লোন আঘাত হানবার পরদিন তিনটি নেভাল বোট এবং একটি হস্পিটাল শিপ হাতিয়া, সন্দীপ এবং অন্যান্য এলাকার উদ্দেশ্যে উদ্ধার কাজে গমন করে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান নভেম্বরের ১৬ তারিখ চীনে রাষ্ট্রীয় সফর স্থগিত করে পূর্ব পাকিস্তানে এসে দূর্গত এলাকার উপর দিয়ে বিমান থেকে উড়ে উড়ে দেখে যান। তিনি দূর্গতদের উদ্ধারে ঘোষনা দেন, “no effort to be spared”। তিনি সকল জায়গায় রাষ্ট্রীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিলেন, সেই সাথে শোক দিবস পালনের ঘোষনা দিলেন ২১ শে নভেম্বর। সাইক্লোন আঘাত হানার ৭ দিন পর। প্রায় ৪০ টি দেশের উদ্ধারকারী দল এদেশে এসে পৌছায় সাইক্লোনের ২ সপ্তাহের মধ্যে, জাপানী পার্লামেন্টে সমালোচনা হয় যথাযথ সাহায্য না পাঠাবার জন্য। যে কারনে আবারো জাপানী উদ্ধারকারী দল ত্রান এবং বিমান সহ এদেশে এসে পৌছায় ২ সপ্তাহের মধ্যেই। কিন্তু পাকিস্তানী বিমান প্রথম ত্রান কাজের জন্য উড্ড্যন করে সাইক্লোনের তিন সপ্তাহ পার হবার পর!! }
অপচ্ছায়ার বিস্তার
৪
সবকিছুর বাইরে পশ্চিম পাকিস্তানীরা যে আমাদের বিরুদ্ধে কোন একটা পরিকল্পনা করছে সেটা অনেকের মত আমিও বেশ কিছুদিন আগেই টের পাই। হুট করে একসময় নির্দেশ আসলো যে আমাদের কিছু ‘স্পেশাল যাত্রী’ পরিবহন করতে হবে। সেই সময় স্কোয়াড্রনের লোড মাস্টারদের প্রায় সকলেই ছিল বাঙ্গালী। একদিন আমাকে আমাদের বাঙ্গালী এক লোড মাস্টার বললো, “স্যার, এরা যে যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছে, এরাতো আসলে সবাই সৈনিক।“ আমি বললাম আমাকে একটা প্যাসেঞ্জারস লিস্ট কার্বন কপি করে দিতে পারবে নাকি। লোডমাস্টার বললো যে পারবে। আমি লিস্ট পেয়ে দেখি সত্যি তাই। আমার এক পরিচিত আত্মীয় ছিল শেখ মুজিবের খুব ঘনিষ্ঠ। তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সেই লিস্টের একটা কপি দিয়ে অনুরোধ করি যেভাবেই হোক শেখ মুজিবুর রহমানকে পৌছে দিতে। সেটা পৌছেছিলো নাকি আমি জানিনা।
৫
তবে আমরা বুঝতে পারি যে পূর্বে বড় ধরনের কিছু হয়েছে যখন ২৬ মার্চ আমাদের সকল বাঙালি অফিসারদের গ্রাউন্ডেড করা হল। যার মানে হচ্ছে আমরা বাঙ্গালী অফিসারেরা ফ্লাই করতে পারবোনা। পাকিস্তানী টিভি আর রেডিওতে শুনলাম যে সামান্য গন্ডগোল হয়েছিলো যা সামলে নেয়া হয়েছে। পূর্বে শান্তি বিরাজ করছে। তবে রাতে বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা এসবে শুনে আমরা জানতে পারি যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে পূর্বে।
আমাদের উপর সারাক্ষন নজরদারী ছিলো এটা আমরা বুঝতে পারতাম। পূর্বে পরিস্থিতি যে খুব ভয়াবহ সেটা আরো নিশ্চিত হই কর্নেল জিয়াউদ্দীন নামে আর্মি হেডকোয়ার্টারের এমএস ব্রাঞ্চে (কর্মকর্তাদের বদলী, স্থানান্তর, প্রসাশনিক বিষয়াদী এবং অন্যান্য ব্যাপার এমএস ব্রাঞ্চ দেখভাল করে) কর্মরত এক বাঙ্গালী সামরিক কর্মকর্তার মাধ্যমে। উনি আমাকে বললেন, আলম, পূর্বে তো ভয়াবহ অবস্থা। প্রতিদিন অনেক অনেক আহত নিহত হবার খবর আসছে। পুরোদমে যুদ্ধের মত চলছে মনে হচ্ছে।
{আমার ধারনা মতে পাকিস্তানী বাহিনীর যুদ্ধের সময় যতটা হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল, তার ৬০ ভাগ হয়েছিল ২৬ মার্চ রাত থেকে ২০ শে এপ্রিল এবং এরপর ২১ নভেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে। এ কারনে যুদ্ধ শুরু হবার কিছুদিনের মধ্যেই পুর্ব থেকে পশ্চিমে এমএস ব্রাঞ্চে হাজার হাজার হতাহতের খবর (যার মধ্যে অন্তত ১০০ জন অফিসার) আসা পশ্চিমাদের জন্য মারাত্মক ব্যাপার ছিল। ২৬ মার্চ থেকে ২০ শে এপ্রিলের মধ্যে ইপিআর, ইস্টবেগল রেজিমেন্ট এবং নানা জায়গার বাঙ্গালী পুলিশের প্রি এম্পটিভ স্টাইক এবং এম্ব্যুশে অন্তত ৩০০০ হাজার পাকিস্তানী সেনা এবং অফিসার মারা যায় অথবা যুদ্ধবন্দী হিসেবে ধৃত হয়, যাদের কিছুদিন পর বিএসএফের হাত ঘুরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে স্থানান্তর করা হয়। এরমধ্যে পাকিস্তানীরা সবচেয়ে বেশি লোকবল ক্ষয় করে চট্টগ্রামে, এরপর রাজশাহী এবং যশোরে। বাঙ্গালী সামরিক অফিসার, সেনা এবং পরিবার বর্গের উপর সবচেয়ে বেশি নৃশংশতার ঘটনা ঘটে কুমিল্লায়, যেখানে প্রায় ১১০০ বাঙ্গালী অফিসার এবং সেনাকে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রামে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে (ইবিআরসি) অতর্কিত হামলা করে হত্যা করা হয় প্রশিক্ষণরত প্রায় ৫০০ সেনা এবং অফিসারকে। }
আমি জিজ্ঞেস করলাম, “স্যার আমাদের কি করা উচিত?“
উনি বললেন, “ যা করবে নিজের বুদ্ধি দিয়ে কর। এমনকি বাঙ্গালী কাউকেও বলবার দরকার নেই। কাউকে বিশ্বাস করোনা।“
সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে দেশে কিংবা ভারতে পালানো অসম্ভব মনে হচ্ছিলো। তবু আমি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সামসুল আলম, জিডি(পি),পাক ৪৯২১, সিদ্ধান্ত নেই আমি দেশে চলে যাব সেটা যেভাবেই হোক।
চলবে ...
কিছু কথা:
নীচের কথাগুলো স্যার বলেছিলেন। এই অল্প বয়সী ব্লগার নয়। উনার মুখে বলা কথাগুলো শুনে কিছু একটা লেখার অপচেষ্টা করেছি মাত্র...
##কোন রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্যে আসিনি, নিজেকে অনেক বড় বলেও আমি দাবী করিনা। আমার জীবনের কিছু ঘটনা আমার কাছের কিছু মানুষ ছাড়া আমি কাউকে বলিনি। কোন জীবনী লিখে রাখিনি, বই প্রকাশ করবারও ইচ্ছে করেনি। তবে জীবনের সায়াহ্নে এসে কিভাবে আমার গল্প বলবো বুঝতে পারছিনা, তবে এ মুহূর্তে এসে মনে হচ্ছে এই সুযোগ আমার হারানো উচিত নয়। সাজিয়ে বলা হবেনা হয়তো, তবে আমার যতটুকু মনে আছে আমি সংক্ষেপে বলবার চেষ্টা করবো। সব কিছু এক দিনে কিংবা এক সপ্তাহে বলা সম্ভবও নয়। স্মৃতিও বিদ্রোহ করে ইদানিং।##
উৎসঃ সামহোয়ারইনব্লগ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন