|
অপু তানভীর
|
|
গল্পঃ অচেনা আগন্তুক (সেকেন্ড এডিশান)
06 November 2014, Thursday
-তোমাকে না বলেছি এভাবে একা একা কোথাও যাবে না !
ফোনে ধমক শুনে নিকিতা কিছুক্ষন কোন কথা বলতে পারলো না । তাকে আজ পর্যন্ত কেউ ধমক দিয়ে কথা বলে নি অথচ এই মানুষ কি অবলিলায় তাকে ধমক দিয়ে কথা বলছে ।
রাত ১১টার কিছু কিছু বাজে । দেশের সব থেকে বড় কমিউনিটি সেন্টার "আলেন্ড্রো" তে আলো ঝকমক করছে ! আয়োজনের কোথাও এটুকু কমতি নেই । হবেই বা কেমন করে । দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পপতির এক মাত্র কন্যার বিয়ে হচ্ছে । আয়জনের কমতি কিভাবে থাকবে ?
যে কমিউনিটিসেন্টারে এক সাথে ছয়টা অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায় সেটা পুরোটা ভাড়া করে হয়েছে কেবল একটা বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য । চারি পাশের মানুষ সমাগম দেখে মনে হচ্ছে যেন পুরো শহরের সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে । সবাই এখানে এসে হাজির !
এত সব মানুষের ভিতর অন্যতম আকর্ষন হিসাবে রয়েছে দেশের প্রেসিডেন্টে কন্য নিকিতা রহমান খান । নীল রংয়ের একটা পার্টি ড্রেসে পরে এসেছে বিয়ের অনুষ্ঠানে । তার বাবারও আসার কথা ছিল কিন্তু অতি জরুরী কাজে তাকে হঠাৎ করেই দেশের বাইরে যেতে হয়েছে । আর তাছাড়া শিল্পপতির কন্যা তিহী নিকিতার বেশ ভাল বন্ধু ! তার বিয়েতে না এসে কি পারা যায় !
নিকিতা ফোন কানে নিয়ে কিছুক্ষন চুপ করে দাড়িয়ে রইলো । বেশ কিছু ইয়াং টাইপের ছোকড়ারা তার সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করছে কিন্তু নিকিতার সেদিকে খিয়াল নেই । সে স্টেজ থেকে নেমে হল রুমের এক পাশে গিয়ে হাজির হল ! এতোক্ষন সে বর বউয়ের পাশেই ছিল !
নিকিতা নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বলল
-আপনি কি বললেন ?
-বললাম তোমাকে না বলেছি এভাবে একা একা কোথাও না বেরুতে !
-আমি একা বের হয় নি !
-হুম ! জানি তো কাকে নিয়ে বের হয়েছো । দুজনই এখন ঘুমে বেহুস হয়ে পড়ে আছে ।
-মানে কি ? দেখুন আপনি আমাকে বকবেন না খবরদার ! আমাকে এর আগে কেউ কোন দিন এভাবে বকে নি !
-ঠিকই বলেছো । তোমাকে বকা আমার ভুলই হয়েছে । তোমাকে থাপড়িয়ে দাঁত ফেলে দেওয়া দরকার । বেকুব মেয়ে কোথাকার !
নিকিতা ধারনাই ছিল না যে দেশের প্রেসিডেন্টের মেয়েকে কেউ বেকুব মেয়ে বলে ধমক দিতে পারে !
নিকিতার নিজের রাগ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হল । ফোনের ভিতরেই বলে উঠলো
-শুনুন মিস্টার রাফায়েল চৌধুরী ! আপনি কিন্ত.......
-কি বললেন ? কি নামে ডাকলেন আমাকে ?
-জি ! ঠিকই শুনেছেন ! আপনার পরিচয় আমি পেয়ে গেছি !
-তাই ! পেয়ে গেছেন ! হাহাহাহা !
ফোনের ওপাশ থেকে খুব জোরে হাসার আওয়াজ হল ! নিকিতা নিজেকে আর নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে ফোন কেটে দিল ! হল রুম থেকে বেরিয়ে উপরের দিকে রওনা দিল । এতো মানুষের ভিড় এখন তার কাছে অসহ্য মনে হচ্ছে !
মানুষ টা ভাবে কি নিজেকে ! কি ভাবে নিজেকে !
হলরুম ছারিয়ে উপরের ঘরের বেশ কয়েকটা রুম আছে । নিশ্চই কোন কাজে ! এখনঅবশ্য প্রায় সব গুলোতেই মানুষ ভর্তি । বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত !
এদিক ওদিক হাটতে হাটতেই নিকিতার রাগ কমে এল । মনের মাঝে একটু দ্বিধা দেখা দিল । আসলেই সে মানুষটার খোজ বের করতে পেরেছে, নাকি পারে নি !
কিন্তু এই কন্ঠস্বর কি তো ভুল হওয়ার কথা । হাজারটা কন্ঠের ভিতরেও সেই কন্ঠ ঠিকই চিন্তে পারবে, এতটুকু বিশ্বাস ওর নিজের ভেতরে আছে । তাহলে ভুল কেন হল ?
মানুষটা কেন এমন করে হেসে উঠলো ?
সেদিনের সেই আগন্তুককে নিকিতা যেন কিছুতেই মন থেকে ভুলে যেতে পারছিলো না ! সারাটা সময় কেবল তার কথাই চিন্তা-চেতনা জুড়ে বসে গেল ! ভেবেছিল সে আবার হয়তো ফোন করবে । কিন্তু একেবারে যেন তার কথা ভুলে গেল সে । আর কোন যোগাযোগ নেই । না কোন মেইল না কোন ফোন কল ।
লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে নিজে একদিন ফোন করেছিল কিন্তু ফোন টা বন্ধ ছিল । মেইল পাঠিয়েছে বেশ কয়েক টা । কিন্তু কোন জবাব আসে নি !
তখন যেন হঠাৎ করে তার দেখা পেল সে ।
টিভিতে এলোমেলো চ্যানেল ঘোরাতে ঘোরাতেই দেখতে পেল একটা টকশো হচ্ছে, পাল্টাতে যাবে ঠিক তখনই টকশোর মানুষ টা কিছু বলে উঠলো । নিকিতা কিছুক্ষন কোন কথাই বলতে পারলো না । বুকের ভেতরে সেই কন্ঠ তীরের ফলার মত করে ওকে আঘাত করে চলল ।
না ! কোন ভাবেই ভুল হওয়ার কথা নয় !
নিকিতার একটুও বুঝতে কষ্ট হল না এই রাফায়েল চৌধুরীই সেদিনের সেই আগন্তুক ! কোন ভুল হতে পারে না !
কিন্তু আজকে এভাবে হেসে ফেলায় নিকিতা খানিকটা হতাশই হল ! আসলেই সে মানুষটাকে চিন্তে ভুল করেছে ? এসব যখন চিন্তা ভাবনা করেছে তখনই ওর ফোন টা বেজে উঠলো ।
-কি চাই আপনার ?
-আমার কিছু চাই না । বলতে চাচ্ছি যে নীল পোষাকে তোমাকে বেশ সুন্দর মানিয়েছে । আজকে তোমার বান্ধবীর বিয়ে না হলে তোমার বিয়ে হলে ভাল হত !
-কেন ?
-কারন এই আসরের সব থেকে সুন্দর মুখ টি তোমার !
এই টুকু বলাতেই কাজ হল । নিকিতার রাগ পানি হয়ে গেল ! মনের ভিতর কেমন একটা আনন্দের অনুভুতি হতে লাগলো ।
ওপাশ থেকে আবার কন্ঠ টা বলে উঠলো
-এবার একটু মন দিয়ে শুনো ! তোমার পিছনে লোক লেগেছে !
নিকিতা বলল
-চিন্তা করবেন না ! এই ভিড়ের ভেতরে ওরা কিছু করতে পারবে না !
-ভীড়ের ভিতর কিছু করতে পারবে না ঠিক আছে কিন্তু তুমি যখন বাইরে বের হবে তখন ওরা এটাক করবে !
নিকিতা কি বলবে ঠিক বুঝতে পারছে না । ততক্ষনে হাটতে হাটতে আবার হল রুমের ভিতর চলে এসেছে । অনুষ্ঠান প্রায় শেষ হয়ে এসেছে । এখন কন্যকে গাড়িতে তুলে দেওয়ার পালা । তারপর আস্তে আস্তে সবাই বিদায় নেবে ! নিকিতার ওর সাথে আসা দুজন গার্ডকে খোজার চেষ্টা করলো । দুজন সাথে এসেছিল ! আর দুজন গাড়িতেই অপেক্ষা করছিল ! কিন্তু কোথায় ওদের দেখতে পেল না । একটু আগেও এখানেই ছিল । কোথায় গেল !
ওপাশ থেকে আবার কথা বলার আওয়াজ শোনা গেল !
-তোমার ঠিক ডান দিকে একটা টেকো মত লোক দেখতে পাচ্ছো ?
নিকিতা তাকিয়ে দেখে আসলেই ওর ডান দিকে এজন দাড়িয়ে আছে । ওর থেকে ৫০ গজের মত দুরে ।
-হ্যা ! কেন ?
-ও তোমাকে ফলো করছে । ওর কাজ হচ্ছে তোমাকে গাড়ি পর্যন্ত ফলো করা । যাক ও যতক্ষন তোমার আসে পাশে আছে ততক্ষন মনে হয় ওরা এটাকে যাবে না ।
-আচ্ছা আপনি এতো কিছু জানেন কিভাবে ? বলেন তো ? আর আমাকে আপনি কিভাবে দেখছেন ?
আবারও হাসির আওয়াজ এল ওপাশ থেকে ।
-আমি জানি কিভাবে সেটা জরুরী না । জানি এটাই জরুরী ! যাক আমাদের মনে হয় কাজ শুরু করে দেওয়া উচিৎ !
-মানে কি ? কি কাজ ? দাড়ান আমি আঙ্কেল কে ফোন দেই ! উনি আরো ফোর্স পাঠাক !
-না ! এতো সময় নেই । আর তাছাড়া ফোর্স বের হলে ওরা টের পেয়ে যাবে তার তখন হল রুমের ভিতরে ঢুকেই এটাকে যাবে । অনেক লোক আছে এখানে । হতাহতের সম্ভাবনা প্রচুর !
-তাহলে ?
-যা বলছি কর ! আমি যা যা বলছি তাই কর !
নিকিতা তই করতে লাগলো ! ওপাশের কন্ঠ স্বরের নির্দেশ অনুযায়ী একটা পর একটা রুম পেরিয়ে চার তলার একটা রুমের ভেতরে চলে এল ! এখানে কেউ নেই ! ছোট্ট একটা স্টার রুম বলা চলে !
-এবার দরজা বন্ধ কর !
নিকিতা দরজা বন্ধ করলো !
-এরপর ?
-দেখো বড় টেবিলের নিচে একটা ব্যাগ আছে । ব্যাগটার ভিতর কিছু পোষাক আছে । ওগুলো চট করে পরে নাও !
-মানে কি ?
-মানে হল সুন্দরী ! তুমি এই তিন কেজি ওজনের লেহেঙ্গা আর দুই ইঞ্চি হাই হিল পরে দৌড়াতে পারবে না !
-আমার হিল মোটেই দুই ইঞ্চি লম্বা না !
-কিন্তু নেহেঙ্গার ওজন তো তিন কেজি নাকি ?
-কি নিশ্চয়তা আছে যে আপনি আমাকে দেখছেন না । আমি আপনার কথায় পোষাক বদলাবো না !
কিছুক্ষন নিরবতা ! ততক্ষনে নিকিতা ব্যাগ টা খুলে পোষাক বদলাতে শুরু করে দিয়েছে । ও নিশ্চিত জানে আর যাই হোক ওপাশের মানুষটা লুকিয়ে কোন মেয়ের পোষাক বদলানো দেখবে, এমনটা হতে পারে না !
জিন্স টা একটু টাইট হল তবে শরীরের সাথ একেবারে ফিট হয়ে গেল ! কালো গেঞ্জির উপরে কালো জ্যাকেট ! আর একজোরা বুট ! নিজেকে কেমন জানি একশান ফিল্মের হিরোইনের মত লাগতে লাগলো নিকিতার কাছে ।
এখন চোখ একটা কালো সান গ্লাস আর হাতে গ্লোভ থাকলেই হল ! পরে থাকা পোসাক টা ব্যাগের ভিতর ঢুকিয়ে আবার যথাস্থানে ব্যাগ টা রেখে দিল সে !
-কি কাজ শেষ ?
-হুম ! এবার সোজা ছাদে চলেও যাও ! আর ফোন টা পকেটে রেখে এয়ার ফোনের সাথে সংযোগ কর !
-এয়ারফোন তো সাথে আনি নি ! গাড়িতে আছে !
-তা আনবা কেন ? দেখো ঐ ব্যাগের পকেটে আছে একটা ব্লটুথ এরার ফোন !
নিকিতা ব্যাগ হাতড়ে দেখলো আসলেই ওখানে একটা ব্লুটুথ হেড ফোন ডিভাইস আছে । নিকিতা ভেবে অবাক হল লোকটা নজর কত দিকে আছে । কত নিখুত ভাবে সব কিছু ভেবে রেখেছে !
নিকিতা পথ খুজে যখন ছাদে গিয়ে হাজির হল তখনই পেছন থেকে কার যেন আওয়াজ পেল । কানের কাছে আস্তে করে আওয়াজ এল
-নরবে না । টেকো মাথা তোমার পিছু নিয়ে ছাদে চলে এসেছে ।
-এখন ?
-দাড়াও । দেখছি !
তখনই পেছন থেকে আওয়াজ এল
-মিস নিকিতা !
নিকিতা পেছন ঘুরে তাকালো ! লোকটা হাতে পিস্তল উঠে এসেছে । নলটা সোজা ওর দিকে ঘুরানো ! যদিও জানে ওকে সম্ভবত গুলি করা হবে না !
নিকিতা যথা সম্ভব গম্ভীর গলায় বলার চেষ্টা করলো
-কি চাই !
-আপনি পালানোর চেষ্টা করবেন না দয়াকরে !
-আমি কেন পালাবো ? কি বলছেন আপনি !
কানের কাছে হেড ফোনে আবার আওয়াজ এল
একটু সরে দাড়াও ! তোমার জন্য লোকটা কে ঠিক মত বাগে পাচ্ছি না !
-কোন দিকে ?
কথাটা আস্তে বললেও কথা টা সামনের জন ঠিকই শুনে ফেলল
ওর দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনি কার সাথে কথা বলছেন ? কান থেকে হেড ফোন খুলুন ! খুলুন বলছি !
নিকিতা ততক্ষনে ডান দিকে সরে দাড়িয়েছে । টেকো মাথা ওর দিকে এগিয়ে আসছে ঠিক তখনই নিকিতা অনুভব করলো ওর কানের পাশ দিয়ে কিছু একটা চলে গেল । তারপর বিস্ফোরিত চোখ দেখতে পেল সামনের টেকো মাথা মানুষটার ।
বুকের ঠিক সান দিকে রক্তের ফোয়ারা বের হয়ে গেছে ততক্ষনে !
কানের কাছে নির্দেশ এল
-উই হ্যাভ টু মুভ ফার্স্ট ! ওরা টের পেয়ে যাবে যে কোন সময় !
-কি করবো ? কোন দিকে যাবো ?
-ডান দিকের রেলিংয়ের দিকে যান !
নিকিতা কোন কথা না বলে সেদিকে গেল । এদিকটা কমিউনিটি সেন্টারের পেছনের দিক ! সামনের দিক আলোসজ্জা থাকলেও এদিকটা অন্ধকারই বলা চলে ! নিকিতা একেবারে রেলিংয়ের কাছে গিয়ে দেখলো ঠিক এক তলা নিচে একটা লোহার সিড়ি দেখা যাচ্ছে । তিলতলার একটা রুমে গিয়ে সিড়িটা । কিন্তু চার তলা থেকে সেখানে যাওয়ার জন্য কোন উপায় নেই !
নিকিতা বলল
-আমি নিচে নামবো কিভাবে ?
-পারবে না ?
-মাথা খারাপ নাকি ? আমি পারবে না !
-আরেকটু ভাল করে দেখো । অন্ধকারের জন্য মনে হয় ভাল করে দেখতে পাও নি !
নিকিতা আরেকটু মনযোগ দিয়ে দেখতে পেল সেখানে একটা কালো দড়ির মই বাঁধা রয়েছে । অন্ধকারের জন্য ঠিক মত দেখতে পাই নি প্রথমে !
নিকিতা তবুও সঙ্কিত গলায় বলল
-আমার কেন জানি সন্দেহ হচ্ছে ! পারবো তো ?
-আরে পারবে না মানে ? তুমি প্রেসিডেন্টের মেয়ে না ! পারতেই হবে ! তোমার বাবা কত সাহসী একজন মানুষ ! আর টার মেয়ে হয়ে তুমি এই কাজটুকু করতে পারবে না ?
নিকিতার মনে তবুও ভয় জায়না না । সে আস্তে আস্তে রেলিংয়ের উপর ওঠে । তারপর কোন রকমে -পা রাখলো দড়ির মইটাতে । যখন মনে হল না কোন সমস্যা হবে তখনই ওর হাত টা একটু ফসকে গেল ! তবে অন্য হাতটা দিয়ে শক্ত করে ধরে রেখেছিল বলে রক্ষে ! কোন রকমে রক্ষা পেল । তবে ভয় কাটলো না কিছুতেই । আস্তে আস্তে যতক্ষন না লোহার সিড়ির উপর পা রাখলো ততক্ষন ভয় কারটলো না !
-এবার নেমে এসো !
পেছনের দিককার রাস্তাটা একেবারে নির্জন । মানুষ জন নেই বললেই চলে । নিকিতা যখন রাস্তায় নেমে এল দেখতে পেল ঠিক রাস্তার পাশেই একজন বাইকের উপর বসে আছে । যদিও তাদের মাত্র একবার দেখা হয়েছে তবুও চিনতে বিন্দু মাত্র দেরি হল না !
নিকিতা বাইকের কাছে যেতে বাইকের স্টার্ট দিয়ে দিল আগন্তুক !
-আর দেরি করা যাবে না । ওরা যেকোন সমসয় চলে আসতে পারে !
-সত্যি কি তাই ?
-নয়তো ?
-আমার মনে হচ্ছে আপনি আমার সাথে ঘুরতে চান এই জন্য আমাকে এতো কিছু ?
-আচ্ছা তাই বুঝি ?
-জি !
-তাই ধরে নাও ! এখন দেরি কর না । বাইকে উঠে পড় ! আর তোমার ঐ ঘুমন্ত দুই গর্ধবদেরকে একটা মেসেজ পাঠিয়ে দাও যে তুমি রওনা হয়ে গেছো !
নিকিতা বাইকের পেছনে উঠে বসলো ! মুহুর্তেই বাইকে গতি পেল । যেন রাস্তার উপরে উড়ে চলল বাইক খানা ! নিকিতা একটু দ্বিধান্বিত হয়ে আগন্তুককে শক্ত করে ধরে বসলো !
নিকিতার আসলেই আজকে ওর নিজেকে হলিউজ একশান মুভির হিরোইনের মনে হচ্ছে । সামনে বসা হিরোকে নিয়ে যেন উড়ে চলেছে অজানার পথে !
উৎসঃ সামহোয়ারইনব্লগ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন