|
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
|
|
গল্পকণিকা
23 September 2014, Tuesday
প্রেম ও ভয়
একবার এক মেয়ে কোনো এক কবির কবিতা পড়ে তাঁর প্রেমে পড়ে গেলো। একেবারে কঠিন সেই প্রেম। প্রেম একদিন বিয়েতে গড়ালো। তাঁরা সুখে ও আনন্দে প্রেম ও সংসার করতে থাকলেন।
তারপর?
তারপর যা ভাবছেন তাই হলো। কবিপত্নী কবিকে কবিতা লিখতেই বারণ করে দিলেন। এর কারণ কী, বলুন তো!
লোভ
তাকে দেখলেই আমার লোভ হয়। সেই লোভ অদম্য, এবং ভয়াবহ।
একদিন গত্যন্তর না দেখে তার কাছে কথাটা পাড়লাম। সে ভীষণ ক্ষিপ্ত হলো, এবং আমাকে রূঢ় ভাষায় ভর্ৎসনা করলো।
আমি স্তিমিত হলাম। নীরবে প্রস্থান করার আগে বললাম- বাসায় বরই গাছ থাকলে পাড়ার লোক তাতে ঢিল ছুঁড়বেই। তোমার লাবণ্য ঢেকে রাখো, অথবা তুমি নিরুদ্দেশ হও।
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪
*এ গল্পটি স্বপ্নচারী গ্রানমা’র একটা গল্প পড়ার পর আমার মাথায় ঢোকে। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা।
মেয়েটি কি বিপ্লবী?
না, তাঁর সমাজ বদলের ইশতেহার প্রকৃতপক্ষে মানসিক বৈকল্যের সাক্ষী। তিনি কোনোদিন অরগাজমের স্বাদ পান নি। তাঁর শরীর এখন আঙ্গার। তিনি এক সর্বভূক রাক্ষসীর মতো যা কিছু সামনে পেয়েছেন, সম্ভোগের জন্য টেনে নিয়েছেন। কিন্তু হায়, সকলেই বিকলাঙ্গ, কিংবা নপুংসক।
কিন্তু কেউ কেউ কিছুটা সুখ দিয়েছিল। তাই তিনি এখনও বেঁচে আছেন। হয়তো কোনো একদিন জনৈক সুপুরুষ ইতিহাস খুঁড়ে বেরিয়ে এসে তাঁকে স্বর্গীয় অরগাজম দিবেন- এ আশায় তিনি বেঁচে থাকেন। আর নিরন্তর বিলাপ করে তাঁর আকুতি জানান।
বৃষ্টি ও বাতাসে তিনি শুধু ক্যান্সারের বীজ বুনেছেন। অসংখ্য কিশোর-কিশোরী অজান্তে সে বিষ খায়, আর তারা অন্ধকারে ডুবে যেতে থাকে। তিনি এক মানুষখেকো।
তিনি বিপ্লবী হতে পারতেন, যদি দু-চারটে ফুল হাতে রেখে মানুষকে ভালোবাসতেন।
উৎসর্গ
সে আমাকে ভালোবাসে, এ আমার বিশ্বাস
আসলে সে বাসে না
তার জন্য ক্ষয়ে পড়ে গোপন নিশ্বাস
উৎসঃ সামহোয়ারইনব্লগ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন