চৈত্রের মাঝামাঝিতেই মরণ দশায় পড়েছে দেশের শত শত নদ-নদী। উজানের পানি প্রবাহ কম হওয়ায় কোনো নদী শুকিয়ে গেছে, কোনোটার পানি প্রবাহ তলাতিতে পড়েছে। পদ্মার উজানে ফারাক্কা এবং তিস্তার উজানে গজলডোবা বাধ দিয়ে পানি উঠিয়ে নেয়ায় ভয়াবহ এ অবস্থা পড়েছে বাংলাদেশের নদ-নদী। ভারতের পানি আগ্রাসনে দেশের মানচিত্র থেকে ইতোমধ্যেই হারিয়ে গেছে অসংখ্য নদ-নদী। অন্যদিকে উপকুলের কাছাকাছি নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করেন ভারত নদীতে বাধ দিয়ে পানি উঠিয়ে নেয়ায় দেশের নদ-নদীর পানির প্রবাহ চৈত্র মাসে স্বাভাবিক মাত্রায় নেই। নদীতে প্রবাহ কম হওয়ায় সমুদ্রের লোনা পানি স্থলভাগের কাছাকাছি চলে আসছে। এতে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে এবং কৃষিকাজে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে ফসলি জমি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগনের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্ছিত শুধু করেনি। বাংলাদেশের নদীগুলোকেও মরণ দশায় ফেলেছে। মিঠা পানি তথা নদী মার্তৃক বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার উপরিভাগ ও ভূগর্ভস্থ পানিতেও লবণাক্ততা বাড়ানোর পথে ঠেলে দিয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের মাটিতে সমুদ্রের লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ ঘটছে এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততা বাড়ছে। উজান থেকে প্রবাহিত পানির প্রবাহ কম থাকায় উপকূলীয় নদ-নদী ভরাট হয়ে জোয়ারের সময় বাঁধ উপচে পড়ছে। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি চলে আসছে কৃষিজমিতে। ব্যাহত হচ্ছে কৃষিজমির স্বাভাবিক উৎপাদনক্ষমতা।
বাংলাদেশের নদীর এই করুণ পরিণতি এবং সমুদ্র পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার পানিতে লবণাক্তরা প্রসঙ্গে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেছেন, উজানের পানির প্রবাহ নীচের দিকে কম হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের নদীর পানি ক্রমান্বয়ে লবণাক্ত হয়ে পড়ছে। লবণাক্ততার কারণে পরিস্থিতি গুরুতর খারাপের দিকেই যাচ্ছে। লবণাক্ত পানি প্রবেশ ঠেকাতে না পারা ও দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের কারণে বিপর্যয় আরো বাড়বে। লবণাক্ত পানির কারণে কৃষিজমি উর্বরত হারিয়ে চাষাবাদের অযোগ্য হচ্ছে। এক দিকে পানির প্রবাহ বাড়িাতে হবে অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ ও পুনর্র্নিমাণ করে লবণ পানি প্রবেশ ঠেকাতে হবে।
অনুসন্ধান করে দেখা যায়, পদ্মার উজানে ফারাক্কা ও তিস্তার উজানে গজলডোবা বাঁধের বিরূপ প্রভাবে ইতোমধ্যে দেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে ৩ শতাধিক নদী। তথাকথিত বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের আন্তর্জাকি আইন লংঘন করে পানি আগ্রাসন নদীমাতৃক বাংলাদেশের কোন নদীর অবস্থাই আর ভালো নেই। ভারতের আগ্রাসন ছাড়াও দখল দূষণে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে অনেক নদী। পানির অভাবে দেশের প্রধান প্রধান নদী পদ্মা, তিস্তা, যমুনা, সুরমা, ব্রহ্মপুত্র সবার বুকেই এখন ধূ ধূ বালু চর। নাব্য সঙ্কটের কারণে নদীগুলো হারাচ্ছে অস্তিত্ব, বন্ধ হচ্ছে নৌ-পথ। শুকনো মৌসুমে পানি নেই। বর্ষা মৌসুমে ভারত ফারক্কা ও গজলডোবা বাঁধের সব গেইট খুলে দিলে এ নদীই আবার দুই কূল ছাপিয়ে দুর্দশার কারণ হয়। বর্ষার পানি ধারণ করার ক্ষমতা নেই বেশিরভাগ নদীর। এমন অনেক নদী আছে, যে নদীতে এক সময় স্টিমারসহ বড় বড় নৌকা চলত, সেসব নদী আজ হেঁটে পার হওয়া যায়। বাংলাদেশের মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা নদীর আজ খুবই করুণ দশা।
নদীকে জীবন্তসত্ত্বা ঘোষণা করে নদীর প্রাণ ফিরিয়ে দিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। দখলে-দূষণে মরছে নদী। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ৩৯ হাজার ৫৫৮ জন নদী দখলদারে তালিকা প্রকাশ করেছে। দখলদারদের মধ্যে দেশের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ, প্রতিষ্ঠান ও নামিদামি শিল্পগোষ্ঠীও রয়েছে। অথচ সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নিতে পারেনি। অপর দিকে ভারতের ফারাক্কা ও গজল ডোবায় বাঁধ দিয়ে এবং উজানে তৈরি করা ৪০টি ড্যাম ও ব্যারাজ পানির গতি পরিবর্তন করে এদেশের নদীগুলোকে কার্যত হত্যা করছে। তিস্তাসহ উত্তরাঞ্চলের অনেক নদী একেবারেই পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহার ছাড়াও নদী দখল, নানা ধরনের শিল্প বর্জ্যরে দূষণে নদীর প্রাণ বৈচিত্রও এখন হুমকির মুখে। নদী মরে যাওয়ায় নদী কেন্দ্রিক জীবন জীবিকাও মারাত্মক হুমকির মুখে। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় হুমকিতে মৎস্যসম্পদ। সেই সাথে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে কৃষি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের উপর।
ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ, অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকা- আর দখল রাজত্ব নদীকে তিলে তিলে মারছে। নদীর সঙ্গে মরছে নদীর ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশও। কৃষিপ্রধান উত্তরাঞ্চলে মরুকরণ দেখা দিয়েছে, সেচ চাহিদা মেটাতে হচ্ছে মাটির নিচের পানি তুলে। তাতে বিপদ আরও বাড়ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামছে, মাটির গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটছে। নদীভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। নদীর মাছ হয়ে উঠছে অমূল্য পণ্য। নদীতে মাছ ধরা, নৌকায় নদী পারাপার করা জেলে-মাঝিদের জীবনধারা বাস্তব থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
গঙ্গা নদীর পানি ভারতের একতরফাভাবে সরানোর কারণে শুধু যে বাংলাদেশের পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তা নয়। বরং এর ফলে বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প, বন ও নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাপক বিপর্যয়েরর সম্মুখীন হচ্ছে। চার দশকের বেশি সময় ধরে ফারাক্কার প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-উত্তরাঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের অন্যতম প্রধান নদী পদ্মায় শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে যাচ্ছে। এতে পদ্মা নদীর অববাহিকায় থাকা সকল নদী তীরবর্তী অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। এক সময়ের প্রমত্তা পদ্মা শুকিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। পদ্মায় পানি কমে যাওয়ায় এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহমান পদ্মার শাখা নদীগুলোও শুকিয়ে গেছে। এ অঞ্চলের সবুজ-শ্যামল বাংলা হয়তো অচিরেই মরুভূমিতে পরিণত হবে। শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গার পানি অপসারণের ফলে বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য, বনজ, শিল্প, নৌ-পরিবহন, পানি সরবরাহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক লোকসান হচ্ছে। আর্থিক মূল্যে প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৩শ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়। পদ্মার পানিপ্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের উত্তর অববাহিকায় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার ভূ-গর্ভস্থ পানির প্রথম স্তর ১৫ থেকে ২০ ফুট নিচে নেমে গেছে। মৌসুমি বৃষ্টিও এই স্তরের পানির অভাব পূরণ করতে পারছে না।
অন্যদিকে তিস্তা নদীর পানি চুক্তি সম্পন্ন না হওয়ায় বাংলাদেশের উত্তারঞ্চলের নদ-নদী এখন পানি শূণ্য। তিস্তা নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে লালমনিরহাট জেলার ডালিয়া পয়েন্টে। এই নদী বাংলাদেশের প্রায় ১২ টি জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে এসে মিলেছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং এই ১২ টি জেলার অর্থনীতি প্রত্যক্ষভাবে তিস্তা নদীর ওপর নির্ভরশীল। তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের মোট চাষযোগ্য জমির শতকরা ১৪ ভাগ তিস্তা নদীর সেচ প্রকল্পের ওপর নির্ভরশীল। প্রায় ৬০০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি চাষের জন্য পানি প্রয়োজন ৩৫০০ কিউসেক। কিন্তু বর্তমানে তিস্তার পানি প্রবাহ ৬০০ থেকে ৭০০ কিউসেক। যেখানে ১৯৮৫ সালে পশ্চিম বঙ্গের গজল দোবায় বাধ নির্মাণ কাজ শুরু করার আগে তিস্তার পানি প্রবাহ ছিল প্রায় ৫০০০ কিউসেক।
বাংলাদেশে পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাতের মতে, তিস্তার মূল প্রবাহ থেকে ভারত অবৈধভাবে পানি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তিস্তায় ডালিয়া ব্যারাজে উজান থেকে আসা পানিপ্রবাহ প্রায় শূন্য। এখন যে ৬০০-৭০০ কিউসেক পানি যা আসছে তা, ধারণা করি, ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের ভাটির উপনদী থেকে। শুধু তিস্তা নয়, ধরলা, দুধকুমার, করতোয়া, ঘাঘট, বরাক নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদসহ উত্তারঞ্চলের অনেক নদনদী এখন পানি শূন্য। তিস্তার রংপুরের কাউনিয়া ব্রীজ পয়েন্টে হাটু পানি। বর্তমান সরকারের ভারতের প্রতি নজজানু মানসিকতায় ভারত বাংলাদেশকে তার পানির ন্যায্য হিস্যা দিচ্ছে না। যার সরাসরি ফলাফল হিসেবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল এবং বৃহৎ জনঙ্গষ্ঠি হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে মরুকরণ দেখা দিয়েছে।
নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রকৃতি, জনজীবন, চাষাবাদ প্রায় সবই নদীনির্ভর। তাই বলা হয়, নদী না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। অর্থাৎ বাংলাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। ভারতের পানি অগ্রাসনের ফলে বাংলাদেশ এখন সে পথেই এগিয়ে চলেছে। বহু নদী এর মধ্যেই মরে গেছে। বহু নদী মৃত্যুর পথে। নদীগুলোর গভীরতা কমে যাওয়ায় বন্যা ও জলাবদ্ধতা অবধারিত হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার ফসল নষ্ট হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে গত দুই দশকে দেশে ৩ শতাধিক নদী শুকিয়ে গেছে। বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে এসব নদী হারিয়ে গেছে। এ ছাড়া আরও প্রায় ৪ শতাধিক নদী মরানাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বেতনা, শালিখা, শালিতা, হামকুড়া, চুনা ও হাতিটানার মতো তীব্র স্রোতের নদী এখন শুকিয়ে বসতি এলাকায় পরিণত হয়েছে। এসব নদীর মতই সারাদেশে ৩শতাধিক নদীর মৃত্যু হয়েছে। অনেক নদীতে পানিপ্রবাহ কমে গিয়ে এক দিকে শুকিয়ে যাচ্ছে, অন্য দিকে পানি দূষিত হওয়ার কারণেও নদী মরে যাচ্ছে। অনেক নদীতে পানির প্রবাহ থাকলেও সেসব নদী এতমাত্রায় দূষিত হয়ে পড়েছে যে, সেখানকার পানি মোটেও ব্যবহারের উপযোগী নেই। মারাত্মক দূষিত নদীর তালিকায় রয়েছে শীর্ষে রাজধানী ঢাকার চারপাশের নদী বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী, তুরাগ ও বালু।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গত বছর বাংলাদেশে মোট নদীর সংখ্যা কত তা প্রকাশ করে। তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা ১ হাজার ৮টি। এসব নদীপথ ২২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ। এর আগে তারা দেশে ৯০৭টি নদীর সংখ্যা উল্লেখ করেছিল। তবে পরিবেশবাদীদের আপত্তির ফলে পরবর্তীতে তারা ১ হাজার ৮টি নদীর সংখ্যার কথা জানিয়েছে। এ সংখ্যা নিয়েও পরিবেশবাদীদের আপত্তি আছে। তাদের তথ্য মতে দেশে ১হাজার ৫০০ শত নদ-নদী রয়েছে। দেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও নদ-নদী নিয়ে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা করছেন বাংলাদেশ পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা এবং হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক। তার লেখা গ্রন্থে ১ হাজার ৫১৬টি নদীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশের নদ-নদী শীর্ষক গ্রন্থটি ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক বলেন, বাংলাদেশের নদীগুলো জালের মতো বিস্তৃত, একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পর্কিত। তাই একটি নদী কোনো কারণে শুকিয়ে গেলে বা আরেকটির সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তার প্রভাব অন্য নদীর ওপরে পড়ে। উজানে গঙ্গায় বাঁধ দিয়ে পানি সরিয়ে নেওয়ার ফলে পদ্মা পানি পাচ্ছে না। পদ্মা ও তিস্তার সাথে সংযুক্ত শাখা নদীগুলোও পানির অভাবে মরে যাচ্ছে। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে নদ-নদীতে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে এর পানি প্রবাহের সঙ্গে পলির ব্যবস্থাপনা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। আবার যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে অনেক নদী শুকিয়ে গেছে। ষাটের দশক থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ৩০০ নদী শুকিয়ে গেছে। নদীগুলো রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি সমন্বিত পরিকল্পনা জরুরি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন