রাশিয়া ভিন্নমত দমন অব্যাহত রেখেছে। এবার প্রয়াত বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির বিধবা স্ত্রীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে।
চরমপন্থার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই নির্দেশ দেয় রাশিয়ার আদালত। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোর একটি আদালত ইউলিয়া নাভালনায়ার বিরুদ্ধে চরমপন্থার অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নাভালনায়া বর্তমানে রাশিয়ার বাইরে রয়েছেন।
তাস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বাইরে বসবাসরত ইউলিয়া নাভালনায়ার বিরুদ্ধে ‘চরমপন্থি সমাজে অংশগ্রহণের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, আলেক্সি নাভালনি রাশিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিরোধী নেতা ছিলেন। আর্কটিক সার্কেলে বন্দী অবস্থায় ফেব্রুয়ারিতে তার মৃত্যু হয়। রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, নাভালনি প্রাকৃতিক কারণে মারা গেছেন। তবে তার বিধবা দাবি করেছেন, নাভালনিকে নির্যাতন ও ক্ষুধার্ত রেখে হত্যা করা হয়েছে।
নাভালনি চরমপন্থার অভিযোগে ১৯ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন, যা ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করা হয়।
নিজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইউলিয়া নাভালনায়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিন একজন খুনি এবং যুদ্ধাপরাধী। তার জায়গা কারাগারে এবং হেগের অন্য কোথাও নয়।’
স্বামীর মৃত্যুর পর নাভালনির কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নাভালনায়া। মস্কো আদালত রায় দিয়েছে, তাকে হেফাজতে নেওয়া উচিত এবং এরপরই তাকে ওয়ান্টেড ঘোষণা করা হয়।
মিসেস নাভালনায়া গত মার্চে তার স্বামীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেননি। তবে এরপর তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এটা বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য কাজ করে। নাভালনায়া বলেছেন, পুতিনের বিরুদ্ধে তার স্বামী যে লড়াই করেছেন, তা তিনি আরও জোরদার করবেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন