মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ গত সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ধ্বংস করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা–১৫ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার। গত সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন বর্তমান মন্ত্রিসভার সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি।
বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় এ অভিযোগ করেন কামাল আহমেদ।
কামাল আহমেদ মজুমদার সংসদে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় (মিরপুর–কাফরুল) জামায়াতের অসংখ্য নেতা–কর্মী বসবাস করে। এরই মধ্যে জামায়াতের আমির (শফিকুর রহমান চৌধুরী) প্রার্থী হয়েছিলেন (২০১৮ সালের নির্বাচনে)। সেখানকার একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সেটি এখন ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। হঠাৎ করে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও ঢাকার ডিসির কারসাজিতে জামায়াতকে ক্ষমতায় বসানোর কারণে আমার গড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গত শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। ২ হাজার ৩০০ ছেলেমেয়ে ফেল করেছে। আগের বছর থেকে ১ হাজার ২০০ ছেলেমেয়ে জিপিএ–৫ কম পেয়েছে।’
কামাল আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক জামায়াতের...তাকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। সে প্যারালাইসিসে ভুগছে, সে কথা বলতে পারে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বারবার বলার পরেও তাকে এখনো সরানো হয় নাই। কোর্টের পর কোর্ট মামলা তারা করছে, স্কুলটাকে ধ্বংসের মুখোমুখি তারা নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান, স্কুলটাকে আপনি রক্ষা করুন। আপনার বরাদ্দ দেওয়া জমিতে আমি তিলে তিলে এ স্কুলটি গড়ে তুলেছি। এটি নন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমি জানি না, কী কারণে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর কুনজর পড়েছে স্কুলটির ওপর। আমি তাঁরও বিচার চাই।’
উল্লেখ্য গত সেপ্টেম্বরে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেনকে অবৈধ ঘোষণা করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত কমিটি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন